জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার করা টোব্যাকো পাইপসহ চারটি স্মৃতি নিদর্শন পেয়েছে জাতীয় জাদুঘর।
শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নির্দশন হস্তান্তর করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর কতৃপক্ষ।
জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা নিদর্শনের মধ্যে টোব্যাকো পাইপ ছাড়াও আছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত পাজামা, পাঞ্জাবি ও মুজিবকোর্ট। সংগ্রহে বঙ্গবন্ধুর চশমা একটি থাকায় তা জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা যায়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এসব স্মৃতি নিদর্শন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয় বঙ্গবন্ধুর চারটি স্মৃতি নিদর্শন। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরের জন্য আজ এক অসাধারণ দিন। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি জিনিস তারা পেয়েছে। এই অমূল্য সম্পদ টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। এসব এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যেন শতবছর পরেও একইভাবে থাকে।
‘শুধুমাত্র জাতির পিতার ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে আমরা জাদুঘরে একটা গ্যালারি করবো। ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের আমরা স্ব উদ্যোগে এই গ্যালারি দেখাতে নিয়ে আসবো। প্রতিটি টিমের সাথে একজন গাইড থাকবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে এ দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরবেন।’
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কাছে পাঁচটা জিনিস চেয়েছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চশমা শুধু একটি আছে, তাই সেটি আমরা পাইনি। একাধিক থাকলে আমরা নিয়ে আসতে পারতাম।
‘এই উপহার জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহশালাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। মানুষ বঙ্গবন্ধুর এসব স্মৃতিচিহ্ন কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে।’
কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি শুনেছি, জাতীয় জাদুঘরে প্রতিমাসে তিন লাখ মানুষ আসেন। বঙ্গবন্ধুর এসব স্মৃতি নিদর্শন হস্তান্তরের ব্যাপারে তাই আমরা আগ্রহী ছিলাম। কারণ এখানে দিলে বেশি মানুষ তা দেখবে। এসব নির্দশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সারাদেশের মানুষের কাছে জাগরুখ থাকবেন।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় জাদুঘরের পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এগুলো সারা জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ। বঙ্গবন্ধু যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তখনও এই পাইপটি তার হাতে ছিল। তিনি বেশিরভাগ সময় পাঞ্জাবি, পাজামা পরতেন। এগুলো দেখলেই বোঝা যায় তিনি কতোটা সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন।’
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর কাজী আফরিন জাহান ঝুলিসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।