এক কেজি চালের পোলাও, এক কেজি মুরগীর মাংস, সঙ্গে এক লিটার কোমল পানীয়। ২০ মিনিটের মধ্যে সবার আগে সব খেয়ে যিনি শেষ করতে পারবেন তিনিই জিতে নেবেন সেরা খাদকের ট্রফি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার এমনই এক ব্যতিক্রম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আজহারুল ইসলাম আশিক ও তার কয়েক বন্ধু। তারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারের উদ্দেশে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করলেও তা ক্যাম্পাসে বেশ আলোচনার খোরাক হয়।
আয়োজকরা জানান, লটারির মাধ্যমে বাছাই করা তিন প্রতিযোগীর মধ্যে সবার আগে খাবার শেষ করে শিরোপা জিতেছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আব্দুল মোহাইমেন নূর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বাকি দুজন হলেন- পরিসংখ্যান ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রাহাতুল ইসলাম ও বাংলা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শুভ আহমেদ সাকিব।
এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেইসবুক গ্রুপে এই প্রতিযোগিতার জন্য আগ্রহীদের আহ্বান জানানো হয়। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ৩ জনকে বাছাই করা হয়।
শনিবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই প্রতিযোগীতা হওয়ার কথা থাকলে বাধ সাধে বৃষ্টি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ প্রাঙ্গণে ৫টায় শুরু হয় সেরা খাদক প্রতিযোগীতা।
আয়োজকরা শুরুতে ২০ মিনিট সময় বেঁধে দিলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা হয়। প্রতিযোগিতার শুরুর ১০ মিনিট পর হার মেনে নেন পরিসংখ্যানের রাহাতুল ইসলাম। তবে শেষ পর্যন্ত খাওয়ার লড়াই চালিয়ে যান শুভ আহমেদ সাকিব ও আব্দুল মোহাইমেন নূর। প্রতিযোগিতা দেখতে এ সময় ভিড় জমান অসংখ্য শিক্ষার্থী।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৩০ মিনিটের মধ্যেই সব খাবার সবার আগে খেয়ে শেষ করে বিজয়ের শিরোপা জিতে নেন আব্দুল মোহাইমেন নূর।
জয়ের পর আয়োজকদের কাছ থেকে সেরা খাদকের ট্রফি নিচ্ছেন নূর
বিজয়ের পর নূর বলেন, ‘আমি জানতাম যে আমি পারবো। আমি বংশগতভাবে ভোজনরসিক। আমার বংশ হচ্ছে খানেওয়ালা বংশ। আমি প্রমাণ করেতে পেরেছি আমি খানেওয়ালা বংশের ছেলে।’
আয়োজক আজহারুল ইসলাম আশিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে এমন প্রতিযোগিতা হয়নি। আমার চ্যানেলের জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। খাদক চেয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করলে অনেকেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের থেকে ৩ জন কে আমরা লটারি করে নির্বাচন করেছি।’