বিএনপি বন্দুকের নল থেকে নির্গত দল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠা করা বিএনপি বন্দুকের নল থেকে নির্গত দল। তিনি বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠন করেন। সেই উচ্ছিষ্ট গ্রহণের জন্য মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ, গয়েশ্বর বাবুসহ যারা যোগদান করেছিলেন, তারাই এখন বিএনপির বড় বড় নেতা। তারা সবাই রাজনীতির কাক।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পেট্রলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের তাড়িয়ে দিতে হবে এবং প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনো বাধা দিইনি, দেবও না। যদি পেট্রলবামা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে পুঁটি আর মলা মাছের মতো। তেলের দাম বাড়াতে ওরা একটু লাফাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সারা পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। এখন সেটি ১৩৮-১৪০ ডলার। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। আমাদের দেশে আমরা তেলের দাম দ্বিগুণ করি নাই। সব মিলিয়ে ৩৮-৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
‘আমরা দাম বাড়িয়ে পশ্চিমবাংলার সমান করেছি। বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমে তাহলে আবার দাম সমন্বয় করা হবে। তাই বিএনপির এই পুঁটি ও মলা মাছের মতো এত লাফালাফির কোনো প্রয়োজন নেই।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিডিং সংরক্ষিত আছে, সেই মামলার প্রসিডিংয়ে আসামি এবং সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে সবিস্তারে বলেছেন, কখন কোথায় কীভাবে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছিল, তিনি কীভাবে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর জেনারেল সফি উল্লাহকে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিন খোন্দকার মোস্তাক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজপথে এখনো নামিনি, আগামী মাসে পরিপূর্ণভাবে নামব। রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা পাবে না। বিএনপিকে অবশ্য এখনও সারা দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না, বিএনপি আছে নয়াপল্টনের অফিস এবং প্রেস ক্লাবের সামনে। বিএনপির সমাবেশে এখন অনেক নেতাকর্মী দেখতে পাচ্ছি। তাদের কীভাবে গর্তে ঢুকাতে হয়, সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হবে।’
রাঙ্গুনিয়া পৌর অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, জহির আহমদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিচ আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আবু তাহের, এমরুল করিম রাশেদ ও শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।