বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের জয়গাছি খাল অবৈধ দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। খাল থেকে প্রভাবশালীদের নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করায় এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের নির্দেশে শনিবার দুপুরে খাল থেকে জঞ্জাল অপসারণ করা হয়।
শ্রমিকরা খাল থেকে সব নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খাল দখলমুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।উন্মুক্ত খালে খেওলা জাল দিয়ে মাছ ধরেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল শেখ বলেন, ‘মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট ছিল আমাদের। সরকারি এই খালে আমরা কখনও নামতে পারতাম না, মাছ ধরতে পারতাম না। খাল দিয়ে এলাকার পানিও নামতে পারত না। প্রশাসন খাল নিষ্কাশন করায় এলাকার সবাই অনেক খুশি। সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে খালে মাছ ধরেছি।’ আরেক বাসিন্দা কামাল হওলাদার বলেন, ‘এই খাল মুক্ত হওয়ার আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা ২০-২৫ দিন আগে এসে নিউজ করেছিলেন। আজ ইউএনও হঠাৎ এসে খালটি অবমুক্ত করে দিয়েছেন, এতে আমরা অনেক খুশি। এখন আর আমাদের জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’বাগেরহাট সদরের ইউএনও মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জয়গাছি খালের অবৈধ দখলের বিষয়টি আমার নজরে আসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে খালের সব বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।’
পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বাগেরহাট সদরে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৭ কিলোমিটার জয়গাছি খাল ত্রিশ বছর ধরে প্রভাবশালীদের দখলে ছিল। খালে বাঁধ দিয়ে তারা মাছ চাষ করত।