বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাকাতি রোধে পুলিশ সদরের ১০ নির্দেশনা

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ২০:১৯

সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ডাকাতি বা দস্যুতার মতো অপরাধের বিষয়ে সময়োচিত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে এ জাতীয় অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। আর তা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে।’

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ সদর দপ্তর। ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে পুলিশ সব ইউনিটকে ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যানালাইসিস শাখা থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা এবং মামলা পর্যালোচনার পর পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ‘কখনো কখনো কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকৃত ঘটনার আলোকে ডাকাতি বা দস্যুতার মামলা করতে ব্যত্যয় ঘটছে। আবার কখনোবা এ জাতীয় ঘটনা ঘটলেও মামলা হচ্ছে না।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ডাকাতি বা দস্যুতার মতো অপরাধের বিষয়ে সময়োচিত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে এ জাতীয় অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। আর তা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে।’

পুলিশ সদরের নির্দেশনাগুলো হলো-

১. কোনো ডাকাতি বা দস্যুতার ঘটনা ঘটলে এজাহারকারীর বক্তব্যের আলোকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করতে হবে। এজাহারকারীর দেয়া তথ্যে কোনো অসামঞ্জস্যতা দেখা গেলে তথ্য যাচাই করে অনতিবিলম্বে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. ডাকাতির মামলায পুলিশ সুপার বা মেট্রো ডিসি মামলা তদারকি করবেন। দস্যুতার মামলা হলে পুলিশ সুপার নিজে অথবা ন্যূনতম একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তা তদারকি করবেন।

৩. সাজা ভোগকারী ডাকাত ও ডাকাতি মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ তালিকা করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে।

  • ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পার্শ্ববর্তী পুলিশ ইউনিটগুলোর সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধি এবং তথ্য বিনিময় করতে হবে।
  • ৫. ঘটনার পরপরই সম্ভাব্য স্থানে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করতে হবে।

    ৬. দস্যুতা, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক মামলার কারণে বরখাস্ত হওয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে।

    ৭. ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে সময়ে সময়ে একাধিক ইউনিট সমন্বিতভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।

    ৮. মামলার তদন্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে এবং যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ে শেষ করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।

    ৯. গণমাধ্যমে ডাকাতি বা দস্যুতার সংবাদ প্রকাশ হলে তা দৃষ্টিগোচর হওয়ামাত্র বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে প্রাপ্ত তথ্যের গরমিল দেখা গেলে তা যথাযথভাবে যাচাই করে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে ইউনিটের মিডিয়া ফোকাল পারসনের মাধ্যমে জানাতে হবে।

    ১০. পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ডাকাতি মামলা প্রতিরোধ সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশনাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

    এ বিভাগের আরো খবর