বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ ইজিবাইক চালককে মারধর, মহাসড়ক অবরোধ

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৫০

ইজিবাইকচালক সুমন জানান, সকাল ১০টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক দিয়ে ইজিবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিলন মীরা ও রাব্বি হাওলাদার। সেখানে বাস মালিক সমিতির কর্মচারীদের সিগন্যালে না দাঁড়ানোয় তাদের মারধর করা হয়।

বাস মালিক সমিতির কর্মচারীদের সিগন্যাল অমান্য করায় দুই ইজিবাইক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুরোধ এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

ইজিবাইক চালক সুমন জানান, সকাল ১০টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক দিয়ে ইজিবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিলন মীরা ও রাব্বি হাওলাদার। সেখানে বাস মালিক সমিতির কর্মচারীদের সিগন্যালে না দাঁড়ানোয় তাদের মারধর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ইজিবাইক শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হিরণ পয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জিরো পয়েন্ট অঞ্চলের সভাপতি রুহুল আমিন, সহসভাপতি মানিক দেওয়ান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শাহীন শরীফ।

মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আন্দোলনকারীদের জানালে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এর আগে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে বসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

‘আমরা বলেছি, শ্রমিকদের মারধরকারীদের ক্ষমা চাইতে হবে, সেই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার হতে হবে। আর মহাসড়কে অবৈধ কোনো চেকপোস্ট থাকবে না। আমাদের কোনো শ্রমিকের সঙ্গে অন্যায় হলে, আর তার বিচার না পেলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব।’

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ইজিবাইক চালক-শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ শুরু করলে বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির সহসম্পাদক মো. আলামিন দোষী বাসশ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনের কাছে আশ্রয় নেন। পরে বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান ও মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. সোহেলের মধ্যস্থতায় বাস মালিক সমিতির দোষী কর্মচারীরা ইজিবাইক শ্রমিকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘বাস মালিক সমিতি এখন থেকে তাদের নিজস্ব বাস গাড়ি ছাড়া কোনো ইজিবাইককে সিগন্যাল দেবে না এবং শ্রমিকদের হয়রানি করবে না।’

দুপুর ১টার দিকে পুলিশের অনুরোধে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধসহ অন্য কর্মসূচি থেকে সরে আসেন বলে জানান শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম।

বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরা ক্ষমা চেয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর