চলমান সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের কথাবার্তা ও আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলা, ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্ব সংকটে। সারা দুনিয়ায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশও নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না।
‘সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিভাবে মানুষকে একটু আরাম দেয়া যায়, স্বস্তি দেয়া যায়, সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ দেশের বৃহৎ বিরোধী দল বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সংকটকে হাতিয়ার করে সরকার উৎখাতের চেষ্টায় নেমেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজেরা (বিএনপি) ইচ্ছেমতো মিছিল করছে, পল্টন ও প্রেসক্লাবের সামনে। এতোদিন বলতো আওয়ামী লীগ মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছে না। নেত্রী বলেছেন যে ওরা করুক। আর যখন মিছিল-মিটিং করতে পারছে তখন তাদের সাহসের ডানা বিস্তৃত হচ্ছে। এখন তারা বলেছ- বিদেশি শক্তির চাপে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।’
‘মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ বিদেশি শক্তির চাপে মাথানত করে না। শেখ হাসিনা আপন শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বলীয়ান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আপনাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু আগুন-সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান, তাহলে বলবো- জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে এবং সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বলব, প্রত্যেককে কথাবার্তা ও আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা, ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, এটাই আজকে আমাদের সবচেয়ে মেসেজ।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের শক্তি আজও অজানা রয়ে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি, সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা আজও পরিষ্কার নয়।’
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী ও কার্যকরী সভাপতি সামসুন্নাহার বক্তব্য দেন।