বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ কীভাবে শেষ হয়ে গেল, প্রমাণ দিন: তাজুল

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৭:২৭

মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের দেশের মানুষের ওপরেও প্রভাব পড়েছে। করোনা সংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে আসন্ন মহাসংকট মোকাবিলা করার জন্য। এটা সাময়িক।’

বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে যারা সমালোচনা করছেন তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শনিবার সকালে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শেষ বা ধ্বংস হয়ে গেল, মানবতা ভূলুণ্ঠিত হলো বলে যারা চিৎকার করছেন তারা প্রমাণ করে দিন, কীভাবে দেশ শেষ হয়ে গেল।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছেন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে। সেই স্বপ্ন পূরণে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ থাকবে, বাংলাদেশ পথ হারাবে না।’

আন্দোলনের নামে হামলা-ভাংচুর হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে কেউ হামলা-ভাংচুর ও বোমাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু এই অধিকারের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার অধিকার কারও নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের দেশের মানুষের ওপরেও প্রভাব পড়েছে। করোনা সংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে আসন্ন মহাসংকট মোকাবিলা করার জন্য। এটা সাময়িক। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

‘জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসবে বলে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আরও অনেক দেশে সংকট তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল ও অন্যান্য দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করলে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে আমরা ভালো আছি।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বলেই উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থা লোন দিতে আগ্রহী হয়। দেশ যদি লোন পরিশোধ না করতে পারে তাহলে জেনেশুনে কেউ তো অর্থ দেবে না। আবার বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এটা জেনে কখনও কেউ লোন দেয়ার কথা চিন্তাও করবে না।‘

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হলে শিল্প-কলকারখানা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার বিদ্যুৎ। শেখ হাসিনার সরকার দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। এসব অর্জন একটি গোষ্ঠীর ভালো লাগে না।

‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদের পক্ষে কথা বললে তারা খুশি হয়।‘

এ বিভাগের আরো খবর