নীলফামারীর ডোমারে প্রসেনজিৎ রায় নামে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা সাহেব ভিলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত প্রসেনজিৎ একই ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার প্রশুনাথ রায়ের ছেলে এবং উত্তর চওড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসেনজিতের চাচা শৈরেস রায় জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎ বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আর ফেরেনি। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা।
এ অবস্থায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পাশে প্রাইমারি স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে তার মরদেহ ঝুলে থাকার খবর পাওয়া যায়।
প্রসেনজিতের চাচাতো ভাই উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘সকালে স্কুলটিতে পানি খাওয়ার জন্য গেলে সঙ্গে থাকা আমার চাচাতো ভাই সুভাষ জানায় স্কুলের শ্রেণিকক্ষে একজন ঝুলে আছে। পরে দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি গলায় দড়ি দিয়ে প্রসেনজিৎ ঝুলছে। এ সময় আমি তাকে জাপটে ধরি এবং সুভাষ কাচি দিয়ে দড়ি কেটে দিলে মরদেহ নিচে নামাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
উত্তর চওড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘প্রসেনজিৎ ভালো ছেলে ছিল। তার এই মৃত্যু মেনে নেয়ার মতো নয়। কয়েক দিন আগে সে আমার কাছ থেকে বই নিয়ে গেছে পড়ার জন্য।’
ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।