বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে বাল্কহেড ডুবির চার দিন পর নিখোঁজ সুকানির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার বিকেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে নিখোঁজ কালামের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম চৌধুরী নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত সুকানি মিলন হাওলাদার পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
ওসি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মিলনের খোঁজে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে তল্লাশি চালায়। বিকেল ৪টার দিকে বাল্কহেডের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উজিরপুরের মীরের হাটসংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘এমভি মর্নিং সান-৯’ লঞ্চে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় বালুবাহী বাল্কহেডটি। এতে নিখোঁজ হন শ্রমিক কালাম ও সুকানি মিলন।
বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেটে যায় লঞ্চের তলাও। পরে লঞ্চটিকে উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট ঘাটে নোঙর করা হয়।
ঘটনার পর লঞ্চের যাত্রী জিয়াউর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লঞ্চের ছাদে ছিলাম। লঞ্চটিও দ্রুতগতিতে চলছিল। এর মধ্যে দেখতে পাই আড়াআড়িভাবে আসা বালুবাহী একটা বাল্কহেড থেকে সেটার মাস্টার লাইট মেরে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন।
এ সময় লঞ্চ ও বাল্কহেডটি প্রায় একই গতিতে চলছিল জানিয়ে এই যাত্রী বলেন, ‘একপর্যায়ে বাল্কহেডটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।’
পরদিন মঙ্গলবার সকালে বানারীপাড়া উপজেলাধীন সন্ধ্যা নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে ৫৫ বছরের কালাম সাইজুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।