চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে মারামারিতে জড়িয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন।
এ ছাড়া শৃঙখলা ভঙ্গ, খারাপ আচরণ ও হলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগে তাদের একজনকে শোকজ করা হয়েছে।
কমিটিতে হলের সিনিয়র শিক্ষক ড. শাহ আলমকে আহ্বায়ক, আবাসিক শিক্ষক উম্মে হাবিবাকে সদস্যসচিব, সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির ও হাসান মুহাম্মদ রোমানকে সদস্য করা হয়েছে।
বৃ্হস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়া হলে মারামারির ওই ঘটনাটি ঘটে। এতে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ নেত্রীরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সীমা আরা শিমু, উপছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক সাজমুন নাহার ইষ্টি, উপ-কৃষি শিক্ষা সম্পাদক নির্জনা ইসলাম, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তাসফিয়া জাসারাত নোলক।
এদের মধ্যে হলের সাধারণ ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাসফিয়া জাসারাত নোলককে শোকজ করা হয়েছে। ছাত্রীদের অভিযোগ, নোলক অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে হলের পরিবেশ নষ্ট করছেন।
খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইদুল ইসলাম সোহেল নিউজবাংলাকে জানান, হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে ছাত্রীরা মারামারি করে। এ ঘটনায় তারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে।
এক পক্ষ অভিযোগ করেছে, নোলক ও নির্জনার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ইষ্টি বিচার দিয়েছিলেন। পরে কেন তাদের পরিবারের কাছে ফোন করা হয়েছে, ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অপর পক্ষের অভিযোগ, ইষ্টি তার পরিচিত সিনিয়র সীমা আরা শিমুকে ফোন করে নিয়ে আসেন তর্কাতর্কির সময়। শিমু এসে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
শিমুর অভিযোগ, এ সময় তার গেঞ্জিতে টান দেয় অন্য পক্ষ। এতে তিনি আহত হন। একই অভিযোগ নোলকও করেছেন।
প্রভোস্ট বলেন, ‘কে অভিযুক্ত, কে ভুক্তভোগী সেটা তদন্তের পর বের করা যাবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।’