বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোবাইলের আইএমইআই বদলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের কারখানা 

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২২ ২৩:২৮

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘তানভীরকে যখন গ্রেপ্তার করি তখনও সে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কাজ করছিল। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপ ওপেন থাকলে মাত্র ৩-৫ সেকেন্ডের মধ্যেই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলে সে।’

সাধারণত মোবাইল বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চুরি হলে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বরের সাহায্যে খুঁজে বের করে পুলিশ। তাই মোবাইল চুরির পর এই আইএমইআই নম্বরটি যতো দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলে একটি চক্র। মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডেই এই কাজটি করে ফেলে তারা। এমনই এক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের ওর শুক্রবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গেয়েন্দা-উত্তর) মুহাম্মদ আলী হোসেন।

গ্রেপ্তার ৬ জনের কাছ থেকে ১৫৬টি চোরাই মোবাইল, ৭টি ল্যাপটপ, আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৮টি ডিভাইস, ২টি ফ্ল্যাশিং ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ৬ জন হলেন- খোরশেদ আলম, মো. কামাল, সুরুজ মিয়া, জয় চৌধুরী, বাবু ও তানভীর হাসান।

উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরের পুরাতন রেলস্টেশন থেকে খোরশেদ ও কামালকে ৪টি মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- চুরি করা মোবাইল রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি দোকানে বিক্রি করে তারা।’

উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, খোরশেদ ও কামালের তথ্যের ভিত্তিতে নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজার আব্দুল লতিফ মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলা থেকে সুরুজ মিয়া, জয় চৌধুরী, বাবুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ১৬টি চোরাই মোবাইলও উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে।

তারা জানায়, চোরাই মোবাইল আব্দুল লতিফ মার্কেট থেকে চলে যায় দেওয়ান বাজারে। সেখান থেকে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সেগুলো আবার বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন মার্কেটে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করেন সুরুজ, জয় ও বাবু। আর দেওয়ান বাজারে আইএমইআই চেঞ্জ করার কাজ করে মো. তানভীর হাসান। যিনি নগরের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা পাস বর্তমানে বিএসসি পড়ছেন।

তানভীরকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১৩৬টি মোবাইল, আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৮টি ডিভাইস, ২টি ফ্ল্যাশিং ডিভাইস ও ৭টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘তানভীরকে যখন গ্রেপ্তার করি তখনও সে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কাজ করছিল। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপ ওপেন থাকলে মাত্র ৩-৫ সেকেন্ডের মধ্যেই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলে সে। আর ল্যাপটপ ওপেন না থাকলে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। এ ছাড়া যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের লক খুলেও বিক্রি করে তারা।’

আলী হোসেন জানান, গত ৩-৪ বছর ধরে আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজ করেন তানভীর। মাঝখানে কিছুদিন কাজটি বন্ধ রাখলেও টাকার লোভে আবারও এই কাজে জড়ান তিনি।

আরী হোসেন বলেন, ‘অনেকগুলো মোবাইল আইএমইআই নম্বর চেঞ্জ করার আগেই আমরা জব্দ করেছি। সেগুলো সহজেই মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া যাবে।’

এ সময় গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জহিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. কামরুল হাসান ও পরিদর্শক মোক্তার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর