দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই, তবে জ্বালানির ঘাটতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, সরকার জ্বালানির ঘাটতি পূরণে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায় শুক্রবার কোভিড মোকাবিলায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ভবিষ্যতে যেন কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য সরকার এখন থেকে মিতব্যয়ী হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকেই আমরা মিতব্যয়ী হচ্ছি। যাতে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে না হয়। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে না। দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নাই, জ্বালানির আছে। সরকার গ্যাস তৈরি করার ব্যবস্থা করছে। কাজেই এই দিকে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে যে জ্বালানি ও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, তা চিরস্থায়ী নয়। আশা করি অল্প দিনেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে আসবে এবং বাংলাদেশেও দাম কমে আসবে। সেই সাথে বিদ্যুৎও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কারণ জ্বালানির মাধ্যমেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে জ্বালানির দাম তিন গুণ বেড়ে গেছে, জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দেশে জ্বালানি নাই, বাংলাদেশে জ্বালানি আছে। বাংলাদেশ আগে থেকেই প্ল্যান করেছে, প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করছেন।’
এ সময় মন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপির সমালোচনাও করেন। বলেন, বিএনপি সরকার উন্নয়ন নিয়ে, জ্বালানি নিয়ে অপপ্রচার করছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দূর-রে-শাহওয়াজসহ সরকারি ও রাজনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা পরিষদের আয়োজনে ৫০০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য, শাড়ি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব, ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বই দেয়া হয়।