ঢাকার সাভারে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সাদমান সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে গৃহবধূ সামিয়া আক্তারের বাবা মিজানুর রহমান তিনজনের নামে মামলা করেন।
২৫ বছর বয়সী সামিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গায়ের থানা এলাকায়। ৫ বছর আগে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকার সাকিবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।
নিহত সামিয়ার ছোট মামা আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ও মামারা মিলে ২৫ ভরি সোনার গয়না, মোটরসাইকেল ও তিন লাখ টাকা মূল্যের ফার্নিচার দিয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই কৌশলে সেগুলো হাতিয়ে নেয় সামিয়ার শাশুড়ি জায়েদা পারভিন।
‘সেই গয়না নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে মাঝে মাঝেই কথা-কাটাকাটি হতো সামিয়ার। এর জেরে তাকে মারধরও করা হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সামিয়া ফোন করে আমাদের জানায়, ওকে মারধর করছে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। এর আধাঘণ্টা পরই সামিয়ার স্বামী আমাদের ফোন করে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমরা সামিয়ার মরদেহ দেখতে পাই।
‘গয়না নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই ওরা সামিয়াকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চাই।’
ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘সামিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাদনাম সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শাশুড়িকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’