বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ফেসবুকে পরিচয়ে বিয়ে, হত্যার নেপথ্যে রেজাউলের একাধিক সম্পর্ক’

  • শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা    
  • ১২ আগস্ট, ২০২২ ১৪:০২

ঘটনার দিন সকালে ওই নারী চিকিৎসককে নিয়ে হোটেলে ওঠেন রেজাউল। দুপুরের দিকে তিনি ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে হোটেলের কক্ষ থেকে উদ্ধার হয় ২৭ বছর বয়সী জান্নাতুলের মরদেহ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন দেখা যায়।

ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম, এরপর রেজাউল করিমের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয়েছিল চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীকের। তবে স্বামীর একাধিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করাতেই হত্যার শিকার হতে হয়েছে তাকে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সংবাদ সম্মেলন করে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেল থেকে বুধবার রাতে জান্নাতুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর খোঁজ শুরু হয় রেজাউলের। চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যাংকের এই সাবেক কর্মকর্তাকে।

র‍্যাব বলছে, অভিযুক্ত রেজাউলের ফোনকল বিশ্লেষণ করে একাধিক প্রেমের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছেন তিনি।

ঘটনার দিন সকালে ওই নারী চিকিৎসককে নিয়ে হোটেলে ওঠেন রেজাউল। দুপুরের দিকে তিনি ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে হোটেলের কক্ষ থেকে উদ্ধার হয় ২৭ বছর বয়সী জান্নাতুলের মরদেহ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন দেখা যায়।

মগবাজারের কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্স করছিলেন চিকিৎসক জান্নাতুল। মেয়ে হত্যার অভিযোগে রেজাউলকে আসামি করে মামলা করেছে তার পরিবার।

খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল জানান, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবর তারা বিয়ে করেন। পরিবারের অগোচরে বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন।

র‌্যাবের মুখপাত্র জানান, ভুক্তভোগীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন রেজাউল একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রাখেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী জানতে পারলে বিভিন্ন সময়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এই নিয়ে তাদের মাঝে বিভিন্ন সময় বাগবিতণ্ডাও সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রেজাউল তার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভুক্তভোগীকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

খন্দকার আল মঈন জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী রেজাউল ভুক্তভোগীকে হত্যার জন্য তার ব্যাগে ধারালো ছুরি নিয়ে যান। রেজাউল গত বুধবার তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টে’নামে একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে যান। ওই অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থানকালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে রেজাউলের বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা-কাটাকাটি, বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।

তিনি জানান, এ সময় রেজাউল তার ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর তিনি গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হন যাতে হত্যার কোনো আলামত তার শরীরে দেখা না যায়। তিনি ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনও সঙ্গে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় দরজার বাইরে থেকে তিনি রুমের তালা বন্ধ করে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর