খুলনার রূপসায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এসব নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন।
প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বরকে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়ানোর সময় দীপ্তিস্বর ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করতেন। সবশেষ তিনি এক ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সবাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অফিসকক্ষে ঢুকে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, ব্যাবহারিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তারা প্রধান শিক্ষককে মারধরেরও চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মোশাররফ বলেন, ‘ওই শিক্ষককে থানায় আনার পর তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর বাবা বুধবার রাতেই মামলা করেন। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।’
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট স্কুল শেষে প্রাইভেট পড়ানোর সময় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌনতার প্রস্তাব দেন দীপ্তিস্বর। তাতে রাজি না হওয়ায় ছুটির পর মেয়েটিকে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে শিক্ষক সেখান থেকে চলে যান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দীন বাদশা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছিল। আমি সেটা থানায় ফরওয়ার্ড করেছি। ওই প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপ তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’