বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল। এতে ফসলহানির পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী পারের কয়েক হাজার পরিবার।
এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। তারা বলছেন, আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজতলার পাশাপাশি শ শ মাছের ঘেরও ভেসে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
পিরোজপুর সাগর উপকূলবর্তী হওয়ায় নিম্ন বা লঘুচাপের প্রভাব পড়ে ব্যাপক।
এবার সাগরে লঘুচাপের কারণে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এরই মধ্যে দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল।
পিরোজপুরের শারিকতলা, ডুমুরিতলা, ইন্দুরকানী, ভাণ্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে অতি জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
নদীর পারের এলাকা শংকরপাশা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. কাসেম হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও আজ সকাল থেকে যেমন ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘরের উঠানে নদীর পানি উঠেছে। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। ওরা তো আর পানি বুঝে না, খেলতে নেমে যায়। তাই চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে।’
পাড়েরহাট এলাকার গাজীপুর গ্রামের মনিকা বেগম বলেন, ‘কচা নদীর গাজীপুরের বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকার অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। তবে জোয়ারে পানি এলেও ৬-৭ ঘণ্টা পর পানি নেমে যায় ভাটায়।’
ঝনঝনিয়া গ্রামের কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, ‘এখন চলছে আউশ ধানের মৌসুম। ইতোমধ্যে ধান কাটাও শুরু করেছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি ও নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ। এতে ধানের ক্ষতি হবে।’
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পানি স্থায়ী না হলে কৃষি ফসলের ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আমান বীজতলা লাগাতে কৃষকদের কিছুটা ভোগান্তি হবে।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ও ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।