বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২২ ১৮:২১

বাদী যুবলীগ নেতা বলেন, ‘ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ৪টায়, ভোট গণনা শেষ ৪টায়, ফলাফল ঘোষণাও হয়েছে ৪টায়। তাহলে কেমনে কী? আরও ভোটে সংখ্যাগত বিভিন্ন অসংগতি আছে। সেসব আমি মামলার আবেদনে তুলে ধরেছি।’

চট্টগ্রামে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন যুবলীগের এক নেতা।

চট্টগ্রামের প্রথম সিনয়র সহকারী জজ ইছরাত জাহান নাসরিনের আদালতে বুধবার এই আবেদন করেন হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য নাসির উদ্দিন।

নবম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তিনি।

বাদীর আইনজীবী হাসান আলী চৌধুরী নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, জ্যৈষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম, ফরহাদাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওক আলম শওকতসহ ২৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী হাসান আলী বলেন, ‘নবম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কর্মকর্তার অন্যায় আবদার না রাখায় ইভিএমের মাধ্যমে ভুল ফলাফল প্রদর্শন করে বাদীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাদী পুনঃনির্বাচন ও ভোট পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য না করে ৮ জুলাই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মামলার আবেদন করেছেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে আবেদন করেছি। আজকেই আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশ দিবেন বলে আশা করছি।’

বাদী যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমার অন্তত ৪০০ জন করে কর্মী আছে। এর মধ্যে ১০০ জন যদি ভোট নাও দেয়, আমার অন্তত ৩০০ ভোট হয়। কিন্তু ওরা ইভিএমে দেখিয়েছে, একেকটি ওয়ার্ডে আমি ১২০, দেড়শ ভোট পেয়েছি।

‘আমার বাকী ভোটগুলো গেল কই? ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ৪টায়, ভোট গণনা শেষ ৪টায়, ফলাফল ঘোষণাও হয়েছে ৪টায়। তাহলে কেমনে কী? আরও ভোটে সংখ্যাগত বিভিন্ন অসংগতি আছে। সেসব আমি মামলার আবেদনে তুলে ধরেছি।’

১৫ জুন নবম ধাপে চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৯ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী, ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৫ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

এর মধ্যে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শওকত আলম শওকত। বিদ্রোহী প্রার্থী নাসির উদ্দিন পান ৫ হাজার ৬৬৯ ভোট।

এ বিভাগের আরো খবর