বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সা. সম্পাদককে মানছেন না কমিটির ৯৪ নেতা

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২২ ১৬:০২

সহসভাপতি পদ পাওয়া শাখা ছাত্রলীগের প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় সবগুলো গ্রুপের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন। তিন দফা দাবি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘উক্ত পকেট কমিটিতে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা ও অযোগ্যদের স্থান দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদ্য ঘোষিত কমিটিতে পদ পাওয়া ছাত্রলীগের ৯৪ নেতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যালয়ে বুধবার দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী সাতটি গ্রুপের নেতারা। গ্রুপগুলো হলো ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, একাকার, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা।

তাদের অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের গ্রুপের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীকে রাখা হয়নি। এ ছাড়া গঠনতন্ত্র ও জ্যেষ্ঠতার ক্রম না মেনেই বিতর্কিত ও অনিয়মিতদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

আংশিক কমিটি ঘোষণার তিন বছর পর গত ৩১ জুলাই চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। চবি ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ৩৭৬ জন। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে আছেন ৬৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন ১১ জন করে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সঙ্গে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিএফসি গ্রুপের নেতা মো. আল-আমিন রিমন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রাজু মুন্সী। তিনি সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

কমিটি ঘোষণার পরপরই পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগ এনে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

বুধবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর তিন দফা দাবি জানান সাতটি গ্রুপের নেতারা। দাবি মানা না হলে কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

দাবি ৩টি হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা, কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী পুনরায় মূল্যায়ন করা এবং কমিটিতে পদ পাওয়া বিবাহিত, চাকরীজীবী ও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া।

সহসভাপতি পদ পাওয়া শাখা ছাত্রলীগের প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় সবগুলো গ্রুপের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ‘গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বহুল প্রতীক্ষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার দীর্ঘ ৩ বছর পর এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা দুই বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।

‘এই কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেককে স্থান দেয়া হয়েছে, যা সংগঠনকে ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেবে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট আমাদের আবেদন, আমাদের তিন দফা দাবিসমূহ বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’

তিন দফা দাবি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘উক্ত পকেট কমিটিতে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা ও অযোগ্যদের স্থান দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।’

এ সময় ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, আরএস গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার, কনকর্ড গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি আবরার শাহরিয়ার, বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি আবু বকর তোহা, একাকার গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল, উল্কা গ্রুপের নেতা ও সহসভাপতি সুমন খান, এপিটাফ গ্রুপের নেতা এবং নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ আনাম পিননসহ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী ৭টি গ্রুপের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর