বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রতিপক্ষের পিটুনিতে’ একজন খুন, ৮ বাড়ি ভাঙচুর

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ২৩:২০

সালামের ভাতিজি শাহানাজ বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে ৮টার দিকে কাকাকে দেখি নদীর পাড়ে। এরপর শুনি বাজারে যাওয়ার সময় অটো থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় হারুন মেম্বারের লোকেরা। ওনাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে তারা।’

নরসিংদীর মাধবদীর চরভাসানিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুস সালাম নামের একজন খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত লোকজন প্রতিপক্ষের অন্তত আটটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাধবদী থানার ভঙ্গারচরে এই ঘটনা ঘটে।

৬৫ বছর বয়সী আব্দুস সালামের বাড়ি উত্তর চরভাসানিয়া গ্রামে। তিনি কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

এলাকাবাসী ও সালামের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও বর্তমান মেম্বার হারুন মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সকালে ব্যবসার কাজে সিরাজুল ইসলামের চাচাতো ভাই আব্দুস সালাম গোপলদী যাচ্ছিলেন। পথে তাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা আরও জানান, সালামকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের লোকজন প্রতিপক্ষ হারুন মেম্বারের সমর্থকদের অন্তত আটটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

ভঙ্গারচর নৌ ফাঁড়ি এবং মাধবদী থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অটোচালক ইয়াছিন মিয়া জানান, সকালে সালাম বাজারে যাচ্ছিলেন তার অটোরিকশা দিয়ে। পথে পাঁচ-ছয়জন সালামকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে যায়। ইয়াছিন ফোনে সালামের বাড়িতে এ খবর জানান।

ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধাকিলোমিটার দূরে উত্তর চরভাসানিয়ার কান্দাপাড়ার কবরস্থানের পাশে তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সালামের ভাতিজি শাহানাজ বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে কাকাকে দেখি নদীর পাড়ে। এরপর শুনি বাজারে যাওয়ার সময় অটো থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় হারুন মেম্বারের লোকেরা। ওনাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে তারা।’

এ ঘটনার জেরে চরভাসানিয়ার গ্রামের কেরামত আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘর ভাঙচুর হয়েছে। তার ছেলে আক্তার হোসেন, মোক্তার হোসেন, আবুল হোসেনের নদীর পারের টিনে ঘরের ভেতর লুটপাটের চিত্র দেখা গেছে।

তবে অভিযোগকারীদের বক্তব্যে গরমিল পাওয়া গেছে। তাদের অভিযোগ, আব্দুল সালামের বাড়ির লোকজন ভাঙচুর করেছেন।

মাধবদী থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সিরাজ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশ থেকে ৬টি গরু উদ্ধার করেছি। আব্দুস সালামের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর