আশুরা উপলক্ষে রংপুরে অনুষ্ঠিত তাজিয়া মিছিলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর নগরীর শিয়া অনুসারীরা বিহারি ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকাগুলো থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বের হয়।
মিছিলগুলো নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্টেশন বাবুপাড়ার দিকে ফিরে যাবার পথে দাবানল মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মিছিলে অংশ নেয়া একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্টেশন রোডে তিন নম্বর ইস্পাহানি ক্যাম্প ও মুসলিমপাড়া ক্যাম্পের দুই গ্রুপের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দেয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে দুপক্ষই পিছু হটে।
এর আগে গত রোববার তাজিয়া মিছিলে সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে নিধেষাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ। তারপরও মিছিলে লাল কাপড়ে মোড়ানো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।
শোক পালনের এমন দৃশ্য আর অস্ত্রের প্রদর্শনীতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ধর্মপ্রাণ মুসলিমসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মিছিলে অংশ নেয়া আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারাও ইমাম হোসাইন (রা.) শহীদ হওয়ার দিনটি উদযাপন করে এসেছেন। মূলত ইমাম হোসাইনের (রা.) মৃত্যুতে শোক জানাতেই তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। কিন্তু এর আগে এত উত্তেজনা দেখিনি। এটা দুঃখের বিষয়।’
তবে মিছিলে অংশ নেয়া মুহিত বলেন, ‘এটা অস্ত্র নয়। দুঃখের চিহ্ন হিসেবে আমরা এগুলো এনেছি। মারামারি করার জন্য নয়। আমাদের বাপ-দাদারাও এসব নিয়ে আসত।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুটি পক্ষ একটু বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছিল। অনেকে গোপনে দেশীয় অস্ত্র এনেছিল। কিন্তু আমরা তা প্রদর্শন করতে দেইনি।’