আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদরের চিকন্দিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওয়াহেদ খাঁ নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
৩২ বছর বয়সী ওয়াহেদ খাঁর বাড়ি আবুড়া গ্ৰামেই।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমাছ খাঁ ও সাবেক ইউপি সদস্য তমিজ খাঁর মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আলমাছ চিকন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার খাঁর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এদিকে তমিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরদারের সমর্থক।
বেলা ৩টার দিকে আবুড়া গ্ৰামে তমিজের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় আলমাছের সমর্থকরা। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১৫-২০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র ও হাতবোমার আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন।
পুলিশ জানায়, আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে ওয়াহেদ খাঁ মারা যান। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওয়াহেদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওয়াহেদের ভাই মোদাচ্ছের খাঁ বলেন, ‘দুপুরের পরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার ভাইকে কোপাইয়া মাইরা হালাইলো।’
এ বিষয়ে জানতে আলমাছ ও তমিজকে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
পালং মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, চিকন্দিতে স্থানীয় বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ওয়াহেদ খাঁ নামের এক যুবক মারা গেছেন।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি।