বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেলের ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা চলছে: রেলমন্ত্রী

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩৬

ছয় বছর আগে রেলে শেষবার ভাড়া বেড়েছিল। রেলে সবশেষ ভাড়া বাড়ানো হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় গড়ে ভাড়া বাড়ে ৭ শতাংশ। এতে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া বেড়ে হয় ৪০ পয়সার মতো। এই হিসাবে রেলের ভাড়া অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় সবচেয়ে কম। আর যাত্রীপিছু খরচের চেয়ে কম আদায় করায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান দিতে হয় সরকারি সংস্থাটিকে। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর ১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে তারা।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে এবার রেলের ভাড়া সমন্বয়ের চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে আসছে, সেটি জানাননি।

মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলমান ডাবল লাইনের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘নৌপথ এবং সড়কপথে পরিবহনের ভাড়া সমন্বয় করা হলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে রেলের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

গত শুক্রবার মধ্যরাতে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ায় সরকার। এর আগে গত নভেম্বরে বাড়ানো হয় ১৫ টাকা। সে সময় পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেলেও ভাড়া বাড়ায়নি রেলওয়ে।

ছয় বছর আগে রেলে শেষবার ভাড়া বেড়েছিল। রেলে সবশেষ ভাড়া বাড়ানো হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় গড়ে ভাড়া বাড়ে ৭ শতাংশ। এতে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া বেড়ে হয় ৪০ পয়সার মতো।

এর চার বছর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয় ৫০ শতাংশ। সে সময় কিলোমিটারপ্রতি গড় ভাড়া ২৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৩৬ পয়সা।

তেলের দাম বাড়ানোর আগে রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীপিছু তাদের খরচ ২ টাকা ৬০ পয়সার বেশি। এখন তা আরও বাড়বে।

বর্তমানে দূরপাল্লায় বাসে ভাড়া কিলোমিটারে ২ টাকা ২০ পয়সা আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগর পরিবহনে আড়াই টাকা।

লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা। ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ২ টাকা করে। তেলের দাম বাড়ায় এখন মালিকরা চাইছেন যথাক্রমে ৪ টাকা ৬০ পয়সা ও ৪ টাকা। তবে এই হারে ভাড়া দাবিকে যুক্তিযুক্ত মনে করছে না নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।

এই হিসাবে রেল ভাড়া অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় সবচেয়ে কম। আর যাত্রীপিছু খরচের চেয়ে কম আদায় করায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান দিতে হয় সরকারি সংস্থাটিকে।

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর ১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে তারা।

রেলমন্ত্রী কথা বলেন জয়দেবপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নিয়েও। জানান, আগামী ডিসেম্বরে চালু হবে এই লাইন। তখন কোনো ট্রেনকে আর ক্রসিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এতে রেলের সময়সূচিতে উন্নতি হবে।

কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত রেলপথ উন্নত করার কাজ শুরু হয়।

ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন কল্পতরু ওই ডাবল লাইনের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

রেলে কাটা পড়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রেলের দুর্ঘটনা এড়াতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। রেলগেট দেয়া হয় মূলত রেলের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু যারা সড়ক তৈরি করছে, তাদেরকেও নিরাপদ সড়কের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল ইসলাম, ডাবল লেন প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরীন পারভীনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর