সরকারের খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি চাল যারা পাবেন তাদের কার্ড দেয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর ইউনিয়নে এর আওতায় আগের কার্ডধারী ২০০ জনের বেশি নাম বাদ দিয়েছে চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ।
সোমবার নিউজবাংলাকে এ কথা জানান ইউনিয়নের নাম বাদ পড়া অনেকেই। যাদের মধ্যে রয়েছেন, শ্রমিক, মজুর, প্রতিবন্ধী ও বিধবা নারী।
তবে চেয়ারম্যানের বলেন, পুরনো তালিকায় যারা বিত্তবান রয়েছেন তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
তবে শীবগঞ্জ বাজারে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন চাতাল শ্রমিক শহিদুল ইসলাম, মজুর শাহেদ আলী, মামুন, বাসুদেব সহ অনেকে। এছাড়াও অভিযোগ করেছেন সুমন নামের এক প্রতিবন্ধীর পরিবারের।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৬ মাসের বেশি সময় ধরে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে থাকি। এবারে নতুন তালিকা করে আমার নাম বাদ দিয়েছে। বলেছে আর চাল দিবেনা। কার্ডটাও রেখে দিয়েছে। রোদে পুরে চাতালে কাজ করে ৪০০ টাকা পাই। আবার প্রতিদিন কাজ হয়না। চেয়ারম্যান আমাকে যদি বিত্তবান বলেন, তাহলে কিছু করার নাই।’
দিনমজুর শাহেদ আলী বলেন, ‘এর আগেও আমিসহ অনেক গরীব মানুষের নাম বাদ দিয়েছিলো। তখন আমরা চেয়ারম্যানকে চাপ সৃষ্টি করে নামগুলো বহাল রেখেছিলাম। কয়েকমাস পর আবারও নাম বাদ দিয়েছে। আমাদের প্রতিমাসে অন্তত চালে সাশ্রয়ী হতো। এখন আর সেটাও পাবোনা। এটা আমাদের প্রতি চেয়ারম্যানের জুলুম।’
এদিকে চেয়ারম্যানের এমন কর্মকান্ডে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রাইসমিল ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার চাতালে কাজ করেন গরীব মানুষরা। প্রতিদিন কাজও থাকেনা।তাদেরকে বিত্তবান বলে কার্ড বাতিল করে তার নির্বাচনী কর্মীদের তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের কার্ড করে দিয়েছেন। এমন মানসিকতার চেয়ারম্যানকে জনগণের সেবক বলাটা অযৌক্তিক।’
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ। তিান বলেন, ‘নির্দেশনা মোতাবেক যারা স্বচ্ছল, ভিজিডি সুবিধা পান এবং মৃতদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।’
ইউএনও আবু তাহের মোঃ শাসুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই সরকারের সুবিধা অস্বচ্ছল ব্যক্তিরা যেন অগ্রাধিকার পান। ভোক্তাদের নতুন তালিকা হালনাগাদের সময় কোন অস্বচ্ছল ব্যক্তি বাদ পড়ে গেলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে৷’