সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। পরে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে কাচারি চত্বরে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভে জেলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান বিক্রমপুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণ অকটেন, পেট্রল মজুত আছে। এই তেল আমরা বিদেশে সাপ্লাই করে থাকি, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
‘তার এই বক্তব্যের কিছুদিন পরেই আমরা দেখতে পাই, তারা যেভাবে রাতের আঁধারে ভোট চুরি করেছে, ঠিক সেভাবে তেলের দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে জনগণ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’
সরকার হটানোর হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ে, তাহলে আমরা সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে এই সরকারকে উৎখাত করব।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ওই দিন মধ্যরাতেই কার্যকর হয় নতুন দর। এর প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ।
দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।
অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে। এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।