বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হরতাল-অবরোধ না দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপি নেতার

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ১৫:৩৫

নজরুল বলেন, 'আমরা হরতাল করি না বা করতে পারি না- তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? আমরা অবরোধ এর আগে করতে পারি নাই তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? যখন করার সিদ্ধান্ত হবে তখন করব।’

সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে নামলেও আগেরবারের মতো হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল এও মনে করেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ। আর এ কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। সংগঠিত হচ্ছে। এ কারণে যে কর্মসূচিই বিএনপি দেবে, তাতেই জনগণ সম্পৃক্ত হবে।

আশুরা উপলক্ষে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নজরুল বলেন, 'আমরা হরতাল করি না বা করতে পারি না- তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? আমরা অবরোধ এর আগে করতে পারি নাই তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? যখন করার সিদ্ধান্ত হবে তখন করব।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের সংঘবদ্ধ সংগ্রাম প্রতিরোধ মানেই আন্দোলন। সেটা হরতালের মাধ্যমে হতে পারে। আরও বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে।’

২০১৩ সালের শেষে এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এবং ২০১৫ সালে ওই সরকারের এক বছর পূর্তির দিন থেকে বিএনপির আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ দেয়া হয়। পরে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়লে হরতাল ও অবরোধ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলে বিএনপি তার আন্দোলন স্থগিত করলেও ২০১৫ সালের আন্দোলনের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

সে সময়ের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আর হরতাল প্রত্যাহার বা স্থগিত কিছুই করা হয়নি। সেই কর্মসূচি এখনও আছে কি না-এই প্রশ্নও এখন আর কেউ বিএনপিকে করে না। এর মধ্যে বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আবার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বলছে, দাবি পূরণ না হলে নির্বাচনে তারা যাবে না, আর ভোট করতেও দেয়া হবে না।

নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, বিএনপি এবার যে কর্মসূচি দেবে, তা খুবই সফল হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে অযোগ্যতা রাষ্ট্র পরিচালনায়, যে ব্যর্থতা- এর বিরুদ্ধে জনগণের মত সংগঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠিত হচ্ছে। তাতে আগামী দিনে যখনই কর্মসূচি দেব, জনগণ সম্পৃক্ত হবে।’

আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে কোনো মতভেদ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অনেক মন্ত্রীরা আছেন তারা বলেন আমরা নাকি আন্দোলন করতে পারি না। তারা আন্দোলন বলতে যা বুঝে এটা যদি সবাই বুঝতে চান তাহলে বিপদ হবে।'

‘এটা যদি সভ্য দেশ হতো, তাহলে অন্যান্য সভ্য দেশের মতো বেশ কিছু লোক যদি একত্রে দাবি জানাত, তাহলে সেই দাবির বিবেচনা করে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিত।’

গত নির্বাচনে বিএনপির জোটের দুই শরিক এবং আরও পাঁচটি ছোট দল ও সংগঠন নিয়ে নবগঠিত ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ সম্পর্কে অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ, আমরা যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি, জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলছি, সে ক্ষেত্রে একটা অগ্রগতি বলেই আমরা মনে করি।

‘তারা যেসব দাবি উল্লেখ করেছে সেই দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমরা করে আসছি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করতে হবে। এসব কথা তাদের দাবিতে আছে আমরা দেখলাম।

‘দীর্ঘদিন যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলে আসছি তার একটা সাফল্য। এই জোট গঠনের ফলে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের এক ধাপ অগ্রগতি।’

বিএনপি সরকারবিরোধী ‘বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম’ গঠনের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতি কত দূর- জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘এই ব্যাপারগুলো আলোচনার মাধ্যমে হয়। আগে থেকে বোঝা গেলে ব্যর্থ করে দেয়ার লোক আছে। কিছু মন্ত্রীর কথায় বিভ্রান্ত হয়েন না। বড়ই বিপদে আছে তারা।’

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, 'দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, সরকার পতনের লড়াইয়ে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দেশ পরিচালনার কাজ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর