শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস সাতক্ষীরা ছেড়ে যায়নি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
সাতক্ষীরা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি তাহমিদ হোসেন চয়ন বলেন, ‘বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের পরিবহনের ওপর চাপ পড়ছে। এখানে আমাদের কিছু না। আমরা গাড়ি চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। গাড়ি বন্ধ রাখলে আমাদেরই ক্ষতি।’
সাতক্ষীরা লাইনের ম্যানেজার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আজ সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়নি। ঢাকাসহ দূরপাল্লার সব বাসই বন্ধ। তবে আমি শুনেছি শ্রমিক ইউনিয়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাস বন্ধ রেখেছে। বিষয়টির সমাধান হলে অথবা মালিক পক্ষ বললে আবার নিয়মিত বাসা যাতায়াত করবে।’
এসপি গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার মিলন কুমার রায় বলেন, ‘কী কারণে বাস বন্ধ রয়েছে সেটি আমি বলতে পারিনা। মালিক বন্ধ রাখতে বলেছেন তাই বন্ধ রেখেছি। মালিকপক্ষ বললে আবার নিয়মিত ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস চলাচল করবে।’
ঢাকার বাস যাত্রী ওমর ফারুক বলেন, ‘সকালে টিকিট কাটতে এসে দেখি বাস বন্ধ। এখন আমি বিপদে পড়ে গেছি। কাল সকাল থেকে আমার অফিস করতে হবে। কয়েকদিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিলাম।’
সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল করিম সাবু বলেন, ‘গতকাল যশোরে সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দিয়েছে যশোর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। সে কারণে সাতক্ষীরা থেকে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। এর কারণ হচ্ছে গত ৫ আগস্ট শ্যামনগরে শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন শ্যামনগরের শ্রমিকরা যশোরের গাড়ি শ্যামনগর যেতে নিষেধ করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যশোরের গাড়ি কালিগঞ্জে আটকে দেয় শ্রমিকরা। পরে ছেড়েও দেয়।’
তিনি বলেন, ‘সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যশোর মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা যশোরে থাকা সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারগুলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সে কারণে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে। আমরা আলোচনায় বসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’