বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাস্টবিন নির্মাণে অনিয়ম, পালিয়েছেন ঠিকাদার

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ১২:৫৫

নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, ‘পৌরসভার ডাস্টবিনে কাজ করতে হলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। কাজ না করেই টাকা তুলে নেয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’

নাটোর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ডাস্টবিন নির্মাণে বরাদ্দ করা টাকা খরচে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাস্টবিন না বানিয়ে লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন ওই ঠিকাদার। বিষয়টি নজরে এলে পুরোনো ডাস্টবিন মেরামত শুরু করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যান।

অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম নায়মুল সরকার বিলাশ।

নাটোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জেলা পরিষদ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে একটি ডাস্টবিন নির্মাণে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত মে মাসে কাজ শেষ দেখিয়ে বিল তুলে নেয় ঠিকাদার। সম্প্রতি ডাস্টবিনের অস্তিত্ব না মেলায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। এতে ঠিকাদার নায়মুল সরকার বিলাশ সোমবার তড়িঘড়ি করে শহরের হুগোলবাড়িয়ায় অবস্থিত পৌরসভার একটি পুরোনো ডাস্টবিনে টাইলস লাগিয়ে কাজ করতে থাকে। নতুন ডাস্টবিনে বরাদ্দের লাখ টাকা দিয়ে পুরোনো ডাস্টবিনের কাজ করায় স্থানীয়রা তাকে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদার নায়মুলের কাছে ডাস্টবিন বিষয়ে জানতে চাইলে যথাযথ কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সটকে পড়েন ওই ঠিকাদার।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পুরোটাই ভুয়াবাজি একটি কাজ হচ্ছিল। পুরোনো ডাস্টবিনে হাজার পাঁচেক টাকার টাইলস বাসায় ঠিকাদার নায়মুল। তাতেও শুধু বালু দিয়ে কাজ সারছিল, কোনো সিমেন্ট নেই তাতে। টাইলস লাগানোর পরপরই খুলে যাচ্ছিল।

‘ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেছে, সে নাকি জানে না কীভাবে কাজ হচ্ছে। ঠিকাদারই যদি না জানে তাহলে জানবে কে? আমাদের স্থানীয় কমিশনার রানাকে ডেকেছি। কমিশনার ওনার কাছে কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমতা আমতা করে ঠিকাদার বিলাশ মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়েছে।’

নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, ‘পৌরসভার ডাস্টবিনে কাজ করতে হলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। কাজ না করেই টাকা তুলে নেবার ঘটনাটি দুঃখজনক। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাইদুল ইসলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর