বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ৩ জন

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ১০:০৮

ঢামেক পুলিশে ক্যাম্পের ইনচার্জ মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, হঠাৎ করে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে ১০ জনের মতো অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ঢামেকে ভর্তি হয়েছেন।

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন তিনজন।

সোমবারের এ ঘটনায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন ৩৫ বছর বয়সী মো. শামীম, ৫০ বছরের মো. শফি উদ্দিন ও ৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ কবির হোসেন।

যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া মো. শামীম মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে ঢামেকে নেয়া হয়।

শামীমের মামাতো ভাই মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, শামীম গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মিরপুরে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন। দুপুরে মোবাইল ফোন কেনার জন্য গুলিস্তান যান তিনি। বিকেল ৪টার দিকে শামীম নিজেই ফোন দিয়ে বলেন, বাসের ভেতর তাকে কেউ কিছু খাইয়েছে।

তিনি জানান, পরে তিনি নিজেই হেঁটে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের সোহেল ট্রেডিং নামের একটি দোকানে গিয়ে বলেন, ‘আমার কাছ থেকে সব টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে। আমি ঘুমাব।’ তখন ওই দোকানের কর্মচারী হাবিব তার অবস্থা দেখে বুঝতে পেরে তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেন।

শামীমের বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ওয়াহেদ আলী মাস্টার। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় তার মোবাইল ফোন বিক্রির ব্যবসা রয়েছে।

স্বজনদের দাবি, শামীমের কাছ থেকে ব্যবসার এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তার মানিবেগে ৪ হাজার টাকা এবং মোবাইলটি প্রতারকচক্র নিতে পারেনি।

এদিকে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া শফিক উদ্দিনকে ঢামেকে নেয়া হয় সন্ধ্যায়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মেয়ে মরিয়ম বেগম হাসপাতালে বলেন, ‌'আমার বাবা বোর্ডের ব্যবসা করেন। ভাই বিদেশ যাবে- এ জন্য এক লাখ টাকা নিয়ে বনানীর একটি প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে আসছিলেন তিনি।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোরগাপারা বাসস্ট্যান্ড থেকে দোয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে রওনা দেন তিনি। গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে বাস থামলে কণ্ডাক্টরের চোখে পড়ে বাসের সিটে একজন চিৎ হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে সেখানে নামিয়ে গাড়ি চলে যায়।

মরিয়ম বলেন, সেখানকার লোকজন তার পকেটে থাকা মোবাইল দিয়ে আমাদের খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।

এ ছাড়া যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন জিপিওর কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির হোসেন। সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার স্ত্রী মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

হালিমা খাতুন বলেন, যাত্রাবাড়ী মোড়ে বিজয় পরিবহনের একটি বাসে আমার স্বামী পড়েছিল। তখন তার পকেটে থাকা মোবাইল থেকে আমাকে ফোন দিলে আমি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, উনার কাছে তেমন একটা টাকা থাকে না। কিন্তু কত টাকা ছিল তাও বলতে পারব না।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, হঠাৎ করে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে ১০ জনের মতো অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ঢামেকে ভর্তি হয়েছেন।

তিনি জানান, সোমবার দুই ব্যবসায়ীসহ একজন জিপিও কর্মকর্তা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তিনজনকেই মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর