পিরোজপুরে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঠবাড়িয়া থানায় দুইজনকে আসামি করে মঙ্গলবার ভোর রাতে মামলাটি করেন ওই নারীর ছোট ছেলে সাইম আলম।
পিরোজপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ইব্রাহিম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই নারীর ১৭ বছরের ছেলে সাইম আলম তার দ্বিতীয় বাবা শেখ সিরাজুল সালেকিনকে প্রধান আসামি ও মামি আয়শা খানমকে দ্বিতীয় আসামি করে মামলাটি করেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’
মায়ের মুত্যুর আসল ঘটনা উদঘাটন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাইম।
এর আগে মঠবাড়িয়া উপজেলা শহরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর নাম শাম্মী আক্তার। তিনি স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারের ব্যবসা করতেন। তার স্বামী শেখ সিরাজুল সালেকিনও একজন ব্যবসায়ী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম পরিবারের বরাতে জানান, প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মারা যাওয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে থানা পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন শাম্মী। দুই বছর আগে তিনি আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন শেখ সিরাজুল সালেকিনকে। সোমবার ছিল তাদের বিয়েবার্ষিকী। সে উপলক্ষে স্বামী সালেকিন ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়ায় আসেন। রোববার রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন শাম্মী। ভোরে তার স্বামী তাকে বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য পাওয়া যাবে। ওই নারীর স্বামী সালেকিনের কথাবার্তায় অসংগতি পাওয়ায় সালেকিন ও তার ছেলে সাইমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।