স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে নেপথ্য থেকে বঙ্গমাতা যে অবদান রেখে গেছেন, তা অবিস্মরণীয়।’
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’-এর ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ’ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি যখন ১৯৬৬ সালে কলেজে ভর্তি হলাম, তখনই ছয় দফার আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় ছাত্ররা একত্রিত হয়ে নেতাদের পরামর্শ নিয়ে ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে। তেজগাঁওয়ের দায়িত্ব আমার কাছে ছিল। দুর্বার আন্দোলন হয়েছে। তখন পাকিস্তান প্রস্তাব দিল, বঙ্গবন্ধুকে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাল। তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যাবেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে আগলে রাখতেন।’
সব আন্দোলনের জন্যই তিনি তাকে সব সময় সহযোগিতা করতেন। বঙ্গমাতা আমাদের ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিলেন। বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নয়, মুক্ত হয়ে যাবেন। আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। যেন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পাকিস্তান বাধ্য হয়। তখন আমি বঙ্গমাতাকে দেখেছি। তার নেতৃত্ব দেখেছি।’
বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গমাতাও নীতির প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, 'নেতাকর্মীদের প্রাণ উজাড় করে ভারোবাসতেন বঙ্গবন্ধু। সে গুণ আমরা দেখেছি বঙ্গমাতার মধ্যে।'
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।