বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভুয়া চিকিৎসকের ওষুধে’ নবজাতকের মৃত্যু

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩৫

শিশুটির মা অজুফা আক্তার জানান, নবজাতকের জ্বর ও জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলে শনিবার দুপুরে তিনি পল্লি চিকিৎসক মান্নান মিয়ার কাছে নিয়ে যান। মান্নান তাকে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়াতে দেন। বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ খাওয়ানোর পরপরই শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোববার রাত ১০টার দিক শিশুটির মৃত্যু হয়।

নেত্রকোণার বারহাট্টায় এক নবজাতকের মৃত্যু ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মান্নান মিয়া নামের কথিত চিকিৎসককে সোমবার দুপুরে নেত্রকোণা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মারা যাওয়া শিশুটি বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের রবিন মিয়ার ছেলে।

অভিযুক্ত ৬০ বছর বয়সী মান্নান মিয়া একই উপজেলার বৃকালিকা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার আসমা বাজারে একটি দোকানে হাঁড়িপাতিল বিক্রির পাশাপাশি মানুষের চিকিৎসা করেন।বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার রাতে বারহাট্টা থানায় মামলা হয়েছে।

শিশুটির মা অজুফা আক্তার জানান, নবজাতক ছেলের জ্বর ও জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলে শনিবার দুপুরে তিনি কবিরাজ ও পল্লি চিকিৎসক মান্নান মিয়ার কাছে নিয়ে যান। মান্নান তাকে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়াতে দেন। বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ খাওয়ানোর পরপরই শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। পরে শিশুটিকে দ্রুত বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে রোববার রাত ১০টার দিক শিশুটির মৃত্যু হয়।শিশুটির বাবা রবিন মিয়া রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মান্নান মিয়ার বিরুদ্ধে বারহাট্টা থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ মান্নানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মান্নান মিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো লেখাপড়া নেই। এমনকি ওষুধ বিক্রির কোনো নিবন্ধনও নেই তার। তবুও তিনি মানুষের চিকিৎসা করেন। কখনও তিনি এলোপ্যাথিক আবার কখনও হারবাল ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে এ ধরনের চিকিৎসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।

তিনি কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও চিকিৎসা শুরু করেন। তবে তিনি কাউকে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন না।অজুফা ও বাবা রবিন মিয়ার দাবি, তাদের শিশুটি গুরুতর অসুস্থ ছিল না। মান্নানের ভুল চিকিসাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বারহাট্টা থানার ওসি বলেন, ‘আমরা মান্নানকে আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত হবে। সে শিশুটিকে ‘ওরসেফ’ নামক একটি ওষুধ খেতে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত গ্রহণ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর