বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের পিটুনি: ঢাবিতে বিক্ষোভ

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৪০

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি শ্যাডো, কলাভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়ে শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের পিটুনির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি শ্যাডো, কলাভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়ে শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘আমার ভাই আহত কেন, শেখ হাসিনা জবাব চায়’, ‘জবাব তোমায় দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে’, ‘পুলিশের হামলা, রুখে দাও বাংলা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘রাতের আঁধারে অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আমরা দেখছি, সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

‘২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ৪৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আর মাত্র কয়েক মাসের লোকসানের অজুহাতে তারা তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একলাফে এত পরিমাণ তেলের দাম কোথাও বাড়ানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’

সাদেক সোহেল বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক থেকে সরকার দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। অথচ পিকে হালদার একাই ১০-১২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশব্যাপী টাকা পাচারের এক মহোৎসব শুরু করেছে এই সরকার।’

সোহেল বলেন, ‘সাধারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে। তারা এই দুর্বিষহ অবস্থা সইতে পারছে না। প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান, আপনারা আন্দোলনে শামিল হোন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান আপনারা রাজপথে নেমে আসুন। এই সরকার জুলুম অত্যাচার থেকে রেহাই পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এদেশে থাকবে না। তাদের সন্তানরা বিদেশে থাকবে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারাও বিমানের টিকিট রেডি করে রেখেছে। ফলে তাদের এই দেশ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই এই সংগ্রাম আমাদের। জোরালোভাবে এই সংগ্রামকে জারি রাখতে হবে।’

পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সাদেক সোহেল বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই গুরুতর আহত। আমরা এটির প্রতিবাদ জানাই। এই বিষয়ে আমাদের কর্মসূচি আমরা দ্রুতই আপনাদের জানিয়ে দেব।’

এসময় সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক কমরেড আব্দুল মমিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি জওহরলালসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর