বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ আগস্টের নেপথ্য কুশীলবদের ধরতে কমিশন চান হানিফ

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৩৫

হানিফ বলেন, ‘পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থেকে যারা ভূমিকা রেখেছিল, তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। তবেই আমাদের যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিতে পারবে।’

পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের ধরতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

বিদেশে পালিয়ে থাকা আত্মস্বীকৃত খুনি ও দণ্ডিত আসামিদের বাংলাদেশে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফ‌জিলাতু‌ন্নেছা মু‌জি‌ব মিলনায়ত‌নে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি ‘বাঙা‌লির গণতা‌ন্ত্রিক আন্দোলন ও মু‌ক্তি সংগ্রা‌মের নেপ‌থ্যের সংগঠক বঙ্গমাতা শেখ ফ‌জিলাতু‌ন্নেছা মু‌জি‌ব’ শিরোনামে এই আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় দণ্ডিত যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ওই রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করব।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ এখনও উন্মোচন হয়নি। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, সেই জিয়াউর রহমানাসহ সবার মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।‘তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থেকে যারা ভূমিকা রেখেছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। তবেই আমাদের যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করেছিলেন। কারণ, আত্মস্বীকৃত ঘাতকদের বিচার করতে গেলে নেপথ্য খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। এতে জিয়ার নাম চলে আসবে সবার আগে। এ জন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বেগম মুজিবের বিচক্ষণতা ছিল প্রখর। রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন না, কিন্তু নেপথ্যে থেকে সহায়তা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার পরামর্শগুলো অবিস্মরণীয়।’

বন ও প‌রি‌বেশবিষয়ক উপক‌মি‌টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হ‌ক আলোচনা সভায় সভাপ‌তি‌ত্ব করেন।

বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য মো. আনোয়ার হো‌সেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, ইতিহাস‌বিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হো‌সেন, রাজ‌নৈ‌তিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, দৈ‌নিক আমা‌দের অর্থনী‌তির এডিটর ইনচার্জ মাসুদা ভা‌ট্টি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ক‌রেন আওয়ামী লী‌গের বন ও প‌রি‌বেশবিষয়ক সম্পাদক দে‌লোয়ার হো‌সেন।

এ বিভাগের আরো খবর