৬ দফা আন্দোলন সফল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, শ্রদ্ধাভরে তা স্মরণ করলেন শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম।
বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মদিনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ- এর আয়োজনে ‘বঙ্গমাতা: ইতিহাসের সাহসী মানুষ’ শীর্ষক আলোচনায় সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ প্রসঙ্গে কথা বলেনি তিনি।
সংগঠনের সভাপতি বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করি, তিনি তার মায়ের মতো কথা বলেন কেবিনেট মিটিংয়ে। তিনি লাকরি দিয়ে মায়ের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় রান্না করার গল্প করেন।’
শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব ৬ দফার আন্দোলনকে সফল করার জন্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার স্বাক্ষী আমি নিজেই।’
তিনি বলেন, ‘ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করা মামলা যে টিকবে না সেটা বুঝতে পেরে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেন, কোন অবস্থাতেই মুচলেকা দিয়ে প্যারোলে মুক্তি নেয়া যাবে না। বঙ্গমাতার পদক্ষেপেই তখন প্যারোলে মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যায়, পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিনা শর্তে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু।’
শিক্ষাবিদ ও শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘রেনু নিজের জন্যে কোনো খরচ করতেন না, যা জমাতেন সবই বঙ্গবন্ধুর হাত খরচ ও সংগঠনের জন্যে করতেন। বঙ্গবন্ধু জেলে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের রক্ষা করা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। এসব করেছেন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও গোয়েন্দাদের উপেক্ষা করে।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের বটবৃক্ষ, বঙ্গমাতা আমাদের ছায়াবৃক্ষ। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের ডাক্তার ছিলেন বঙ্গমাতা। মুসা ভাই লিখেছেন, খাটে বসে তিনি পান বানাতেন না, সারাদেশের খবর রাখতেন।’
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গাফফার চৌধুরী একবার পত্রিকা বের করতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে বললে তিনি টাকা নেবার জন্যে পরের দিন দেখা করতে বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাতেই গ্রেপ্তার হয়ে জেলে চলে যান। গাফফার চৌধুরী যখন ঘোর দুশ্চিন্তায় তখন বঙ্গমাতা তাকে ডাকলেন পরের দিন। টাকা দিয়ে বঙ্গমাতা বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এ টাকা দিতে বলেছে। এরকমই দ্বায়িত্বশীল ছিলেন বঙ্গমাতা।’