সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি কলেজ) ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে কি না, রাষ্ট্রপক্ষকে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ১৪ আগস্ট এ নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
সাবরিনা জেরিন নিউজবাংলাকে বলেন, যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্থানান্তরের। সেটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি না তা আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১ আগস্ট মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নির্যাতনের শিকার তরুণীর স্বামী।
রিটের পক্ষে ওইদিন আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, ঘটনার প্রায় দুই বছর হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আলোচিত এ মামলার বিচারে এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
কেন আদালত পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে। সেটা কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েই সরকার বসে আছে। সেটি আর বাস্তবায়ন করছে না। এ কারণে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে ওই তরুণীকে সংঘব্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জনুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে যাদের অভিযুক্ত করা হয় তারা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।