বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মজুত সার জব্দ, গুদাম সিলগালা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১০:০৯

বগুড়া সদরের ইউএনও সমর কুমার পাল বলেন, ‘নষ্ট সার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে নকল সার উৎপাদন করা হতো। সারের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।’

বগুড়া সদরের একটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়েছে।

এর মধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার বস্তা সার নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।

সদরের এরুলিয়া বাজার এলাকায় রোববার রাত ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে গুদামে থাকা দুটি ট্রাকও জব্দ করা হয়।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুদামে রাখা সারের মালিকের নাম নাজমুল পারভেজ কনক। তবে অভিযানের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। শহরের বড়গোলা এলাকায় ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স নামে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটির মালিক তার বাবা।

ইউএনও জানান, এরুলিয়া বাজারে অবৈধভাবে সার মজুত রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুদামে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাসায়নিক সার পাওয়া গেছে। কিন্তু এই সার সদরের কোনো ডিলারের নয়। গুদামের সামনে প্রতিষ্ঠানের কোনো সাইনবোর্ড নেই।

সদরে অন্তত ২২ জনের নামে সারের ডিলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল পারভেজের নাম নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডিলারের এলাকার বাইরে সার গুদামজাতের নিয়ম নেই।

সমর কুমার আরও জানান, অভিযানে ১২ থেকে ১৪ হাজার বস্তা সার পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ও ডিএপি সার। সকালে গণনা করলে সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আরও ৫ থেকে ৭ হাজার বস্তা নষ্ট সার রয়েছে গুদামে। একই সঙ্গে সার ভর্তি একটি ট্রাক ও একটি খালি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে অভিযানে।

ইউএনও বলেন, ‘নষ্ট সার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে নকল সার উৎপাদন করা হতো। সারের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।’

গত ২ বছর ধরে গুদামের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ‘এক মাস আগে গুদামে সার মজুত করা হয়েছে।’

অভিযানের সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম, এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ইউপি সদস্য নুর আলম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর