যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ রোববার এ মামলা করেছেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের পরিদর্শক মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারিতে সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপনা কাজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রেজেন্টেশন টেকনোলজিকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেন নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে।
তবে তিনি এ দায়িত্ব পালনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের জন্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
তদন্ত শেষে কমিটি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারিতে সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপনা কাজের বিষয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর মিজানুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকির মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও আজিজুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন মিজানুর। এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।’
গত ২৬ জুলাই অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ ওই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে বিষয়টি জানেন।
মিজানুর রহমানের এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণে জাহিদের মানহানি হয়েছে বলে আদালতে তিনি মামলা করেন।