বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবাদের মুখে ফেনীতে কমল বাস ভাড়া

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ২১:৩৭

আবদুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমার মেয়ে ঢাকায় বাংলামোটরে থাকে। আমি প্রায় সময় তাকে দেখতে যাই। আগে ৩০০ টাকা দিয়ে যাইতাম। আজ (রোববার) বলতেছে ৪০০ টাকা লাগবে। সরকার ডিজেলে প্রতি লিটারে বাড়িয়েছে ৩৪ টাকা আর বাস মালিকরা প্রতিজনে বাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না।’

ফেনী থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া (২ টাকা ৮০ পয়সা) অনুসারে এই পথে নন-এসি বাসে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীকে গুনতে হবে ৩৩৪ টাকা। কিন্তু ঘোষণা দেয়া হয় আদায় করা হবে ৪০০ টাকা। এর প্রতিবাদ করতে থাকেন যাত্রীরা। একপর্যায় পুনর্নির্ধারণ করা হয় ভাড়া।

ভাড়া কমানো স্টারলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেনী থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ পর্যন্ত নন-এসি গাড়িতে যাত্রীপ্রতি তারা ৪০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছিল শনিবার। তবে রোববার দুপুরে পুনর্নির্ধারিত ভাড়ায় এখন দিতে হবে ৩৭০ টাকা। এই পথে এসি বাসের ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল ৪৬০ টাকা। তবে যাত্রীরা ৪৩০ টাকা দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন।

প্রতি ঘণ্টায় ফেনী থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া নন-এসি বাসে ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল ৪৪০ টাকা। তবে পুনর্নির্ধারিত ভাড়ায় এখন দিতে হবে ৩৮০ টাকা। এই পথে এসি বাসে ৪৭০ টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাওয়া যাবে। যদিও ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল ৫০০ টাকা।

স্টারলাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফেনী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাফর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভাড়া বেশি নয় কম রাখছি। ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও তা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২৯ টাকা কম। তার পরও যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আমরা ভাড়া ফের পুনর্নির্ধারণ করেছি। এখন ফেনী থেকে ঢাকা পর্যন্ত নন-এসি ভাড়া ৩৮০ টাকা।’ পুনর্নির্ধারিত এই ভাড়াও তো কিলোমিটারপ্রতি হিসাবের চেয়ে বেশি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪০ সিটের গাড়ি এবং পথে টোল পরিশোধ করতে হয়। এই হিসাবে ভাড়া অনেক কম।’

আবদুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমার মেয়ে ঢাকায় বাংলামোটরে থাকে। আমি প্রায় সময় তাকে দেখতে যাই। আগে ৩০০ টাকা দিয়ে যাইতাম। আজ (রোববার) বলতেছে ৪০০ টাকা লাগবে। সরকার ডিজেলে প্রতি লিটারে বাড়িয়েছে ৩৪ টাকা আর বাস মালিকরা প্রতিজনে বাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না।’

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফেনীর মহিপালের বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যদিনের তুলনায় যাত্রী কম। যারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগেরই জরুরি কাজ পড়েছে।মোহাম্মদ আলী নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ভাই বিদেশ যাচ্ছে। তার সঙ্গে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। তবে ভাড়া বেশি হওয়ায় আমার ভাই এখন একা একা যাচ্ছে।’

শুক্রবার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। এরপর বাস মালিকদের সঙ্গে বসে কিলোমিটারপ্রতি নতুন ভাড়া ঠিক করা হয়।

বর্ধিত ভাড়া নিয়ে পরিবহনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন যাত্রীরা। ঘটছে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও।বারইয়ারহাট এক্সপ্রেসের চালক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়তি। তবুও মানুষের কাছে ভাড়া বেশি চাইলে অনেকে দেয় না। কেউ কেউ মারতে আসে। এখন নিরুপায় হয়ে পেটের দায়ে গাড়ি চালাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর