রাজধানীর রামপুরায় মানসিকভাবে অসুস্থ এক নারীর বিরুদ্ধে তার পাঁচ বছরের মেয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঝুমুর নামে শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।
মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে ভাইয়ের বাসায় আনা এই নারী একা অবস্থায় থাকার সময় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটান বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির মামা জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বোন শম্পা আকতার প্রায় তিন বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তার স্বামী সাভারে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। আমার বোন বেশ কিছুদিন সাভারে ছিল তার মানসিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায়। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ পাঠানো হয়।
‘কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য রামপুরা আমার বাসায় নিয়ে আসি। আজ বাসায় কেউ না থাকায় দুপুরের দিকে আমার ভাগ্নিকে বালিশ চাপা দেয়।’
এই ঘটনায় শম্পাকে বাসায় তালা দিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জামাল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ থানার চর কুরারতী গ্রামে। শিশুটির বাবার নাম জসিম উদ্দিন।
চিকিৎসার জন্য রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে কুঞ্জবন এলাকায় ভাই জামাল হোসেনের বাসায় উঠেছিলেন শম্পা। তার আরও একটি ছেলে সন্তান আছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।’