দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে নির্বাচনি আইনে বেশকিছু পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনি আইনে (রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস অর্ডার ১৯৭২-আরপিও) বেশ কিছু অনুচ্ছেদ সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে ইসি। সে লক্ষ্যে ভোটার, এজেন্ট, পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ৫টি বিষয়ে সংস্কার আনার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশিদা সুলতানা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে নতুন আইন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্রেব্রুয়ারি মাসে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এর ৬ মাসের মধ্যে আরপিও সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এর আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পাশাপাশি বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করে কমিশন।
ইসি রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘সংলাপের আগেই আমরা সংস্কার প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করে ফেলেছিলাম। তবে সংলাপের জন্য সেই ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো স্থগিত করা হয়। সংলাপের আলোকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সংযুক্ত করে আমরা ফাইল পাঠিয়ে দিয়েছি।
‘আরপিওতে এমন কিছু সংশোধনী কমিশন আনতে যাচ্ছে যেগুলো করলে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোট করা সম্ভব হবে। আরপিওর এই ছোটখাটো ত্রুটি সংশোধন করলে মানুষের আস্থাও বাড়বে। ভবিষ্যতে যে কমিশনই আসবে তাদের জন্যও নির্বাচন করা সহজ হবে।’
আরপিওতে কিছু ধারার প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, ‘ধারায় অপরাধের বর্ণনা থাকলেও শাস্তির বর্ণনা নেই। এবার তা সংযুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রের বাইরেও যেন ভোটার ও এজেন্টরা নিরাপদে থাকে সে বিষয়টি সংযুক্ত করা হবে। তাতে করে ভোটাররা যাতে অবাধে কেন্দ্রে আসতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত হবে।’