বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলন্ত বাসে ধর্ষণ: পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ২০:২৪

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোববার দুপুরে অভিযোগ করা নারীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সানজিদা হক।

গাজীপুরে স্বামীকে মারধরের পর চলন্ত বাস থেকে ফেলে নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন পাঁচ আসামি।

জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার বিকেলে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

একই সময় বিচারিক হাকিম আদালত-৫-এর বিচারক রিফাত আরা সুলতানা ২২ ধারায় অভিযোগকারী নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন এসব নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, শনিবার ভোরে ওই নারীকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মহানগর পুলিশের একটি টহল দল। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, স্বামীকে বাস থেকে ফেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

এসপি আরও জানান, ঘটনা জানার পর মহাসড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং বাসটি জব্দ করা হয়। ওই নারী আসামিদের শনাক্ত করেন।

আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দরিপাড়া গ্রামের ২৩ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা, নেত্রকোণা জেলা সদর উপজেলার গুপিরঝুপা গ্রামের ২০ বছর বয়সী সুমন খান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠালকাচারি গ্রামের ২৩ বছর বয়সী মো. সজিব, একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোলা গ্রামের ১৯ বছর বয়সী মো. শাহীন মিয়া এবং খুলনার রূপসা উপজেলার খান মোহাম্মদপুর এলাকার ২২ বছর বয়সী মো. সুমন হাসান।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোববার দুপুরে অভিযোগ করা নারীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সানজিদা হক।

তিনি জানান, ধর্ষণের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

যা ঘটেছিল

বাসে ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারীর স্বামী শ্রীপুর থানায় শনিবার রাতে মামলা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন এজাহারের বরাতে জানান, নওগাঁ থেকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাসে স্বামীর সঙ্গে নামেন ওই নারী। ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে যেতে অন্য একটি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। রাত ৩টা ১০ মিনিটে তাকওয়া পরিবহনের বাসে ওঠেন। সে সময় বাসে ছয়-সাতজন যাত্রী ছিলেন।

বাদীর অভিযোগ, রওনা দেয়ার কিছু সময় পর বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়ায় পৌঁছালে দুজন যাত্রী নেমে যান। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার পার হয়ে কিছুদূর সামনে গেলে বাসে থাকা দুই-তিনজন এসে হঠাৎ তাকে মারধর শুরু করে। তার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর বাদীর টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকায় তাকে ফেলে দেয়া হয়। তার স্ত্রীকে নামতে দেয়া হয়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়, চলন্ত বাসেই ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এরপর জৈনাবাজারে ইউটার্ন নিয়ে তাকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর