জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে একদল শিক্ষার্থী। ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘তেল ডিজেলের দাম কমাও কৃষক বাঁচাও’, ‘তেলের দাম কমিয়ে দে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লাকার্ড বহন করেন।
শিক্ষার্থীদের এই প্লাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাতেও আমরা এখানে অবস্থান করেছি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম আপন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এভাবে এতো বিশাল অংকে কখনোই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এর প্রভাবে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ছে। পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও বাড়ছে। তেলের এ দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক। এটা প্রত্যাহার করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম এই দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, গত বছরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর এর প্রভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।
‘আজ প্রতিটি জিনিসের দাম নাগালের বাইরে। এ পরিস্থিতিতে এমন মাত্রায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোটা সাধারণ মানুষকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। আমরা চাই রাষ্ট্র অন্তত সেবা খাতগুলোতে ভর্তুকি বহাল রাখুক। আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।’
শিক্ষার্থীদের এই অংশটি এর আগে শনিবার শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যার সময় তারা শাহবাগ মোড় থেকে সরে আসেন।