বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কেন নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৯:০৩

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা যোদ্ধাদের চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি/কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদকারীদের চিহ্নিত করে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা যোদ্ধাদের চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি/কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রোববার বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবির লিটনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভুইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিপুল বাগমার।

রুলে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, সংস্কৃতি সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের পর আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তৎকালীন সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং সব বন্ধ করে দেয়।

‘ভয়াল পরিস্থিতির মধ্যেও নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, যশোর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হয়। পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তি বাহিনী ও চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় মুজিব বাহিনী নামে দুটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গঠিত হয়। তখন কয়েক হাজার বঙ্গবন্ধুভক্ত ছাত্র-তরুণ-যুবক এই দুই বাহিনীতে যোগদান করেন। তারা ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হন।’

আইনজীবী আরও জানান, তৎকালীন সরকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু করে। ওই সময়ের ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার জাতীয় মুক্তি বাহিনী ও জাতীয় মুজিব বাহিনীকে নানাভাবে সহযোগিতা করত। কিন্তু ১৯৭৭ সালে ভারতে মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় মোর্চা সরকার’ তাদের বাংলাদেশে সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করে। তখন তাদের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্দিন। জেল, জুলুম ও নির্যাতন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৭ বছর পার হলেও সেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অনেকেই চরম কষ্ট-অবহেলায় জীবনযাপন করছেন। এ কারণে গত ১ আগস্ট নেত্রকোণার আনিস খোন্দকার, সাইদুল কাদির, সুনামগঞ্জের ইউসুফ আলী, পরিমল সরকার ও গাজীপুরের স্বপন চন্দ হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর