বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা মামলার আসামিকেও গলা কেটে হত্যা

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৩৬

নিহতের বাবা মোস্তফা চৌকিদার বলেন, ‘আমার ছেলে রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাতে কেউ আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।’

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় শাহীন চৌকিদার নামে হত্যা মামলার এক আসমিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাজিতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গণউন্নয়ন প্রকল্পের পরিত্যক্ত একটি বাগানবাড়ি থেকে ২৪ বছর বয়সী শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকারই মোস্তফা চৌকিদারের ছেলে। এ ছাড়া বাজিতপুর গ্রামের সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলায় ৬ নম্বর আসামি ছিলেন শাহীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজৈর সার্কেল) মো. আনিচুজ্জামান।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে বাজিতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গণউন্নয়ন প্রকল্পের পরিত্যক্ত একটি বাগানবাড়িতে শাহীনের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে রাজৈর থানা পুলিশকে খবর দিলে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় শাহীনের গলা কাটা ছাড়াও শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া তার পা ও হাতের রগ কাটা ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘শাহীন চৌকিদার দেড় বছর আগে বাজিতপুর এলাকার সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি ছিলেন বলে জেনেছি। কিছুদিন আগে তিনি জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন। রাতে কে বা কারা ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।’

নিহত শাহীনের স্বজনদের আহাজারি

নিহতের বাবা মোস্তফা চৌকিদার বলেন, ‘আমার ছেলে রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাতে কেউ আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। আমার মনে হয়, সোহেল হত্যার কারণে তাদের লোকজনই ছেলেকে খুন করেছে। আমি এই নৃশংস হত্যার বিচার চাই।’

নিহত শাহীনের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে মাদারীপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। কিন্তু সোহেল হত্যা মামলায় তাকে আসামি করার পর থেকে ঢাকায় গিয়ে রঙের কাজ করে চলত। কয়েক দিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে বাড়িতে আসে। এই সুযোগে শত্রুরা আমার ছেলেকে রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর