বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার অস্ত্র ও মাদক মামলায় নূর হোসেনের বিচার শুরু

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৭:১৮

২০১৪ সালের ২৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টোকপাড়ায় নূর হোসেন নিয়ন্ত্রিত ট্রাক স্ট্যান্ডের পেছনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, ছোরা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের এবার অস্ত্র ও মাদক মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১) আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ সময় নূর হোসেনসহ মামলার অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি দেশীয় অস্ত্র ও মাদক মামলায় আসামি নূর হোসনকে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। অন্য আসামিসহ তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

শুনানি শেষে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জ গঠন করেন।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বুলবুল নিউজবাংলাকে জানান, ২০১৪ সালের ২৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টোকপাড়ায় নূর হোসেন নিয়ন্ত্রিত ট্রাক স্ট্যান্ডের পেছনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, ছোরা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নূর হোসেন, তার ভাই কাউন্সিলর নূর উদ্দিন ও ভাতিজা শাহজালাল বাদলসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ওই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে সব আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুপুরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান জানান, মামলাজটের কারণে শুনানি পিছিয়েছিল, তবে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করছে।

৪ আগস্ট অন্য একটি অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। ঘটনার এক দিন পর সিটি কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলায় চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় নারায়ণগঞ্জের আদালত। এর পর থেকে নূর হোসেন কারাগারে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর