চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের পর অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাসকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় শনিবার মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। মানিক চন্দ্র দাসের সম্পৃক্ততা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার রোববার দুপুরে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শোনামাত্রই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। অভিযুক্ত মানিক চন্দ্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম আনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে বলা হয়েছে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স।’
চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চবির শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহাকে। এ ছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিম।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীর পলাশ এবং কেন্দ্রীয় স্টোর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশেদুল হায়দার জাবেদ।
মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতারণা মামলা করেছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে চাকরি দেয়ার কথা বলে তিন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।