জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বাসের ভাড়ার পর বাড়ছে লঞ্চেরও। রোববার বিকেলে লঞ্চমালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়া সমন্বয়ের একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চে এখনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি, তবে ভাড়া অবশ্যই বাড়বে। কত বাড়বে, কবে থেকে বাড়বে, সেটা আজ বিকেল ৪টার পর সিদ্ধান্ত আসবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রস্তাব রেডি করেছি। বিকেলে প্রস্তাবটি বিআইডব্লিউটিএর কাছে পাঠাব।’
শনিবার দুপুরে জ্বালানি তেলের মৃল্য বৃদ্ধিসংক্রান্ত এক ব্যাখ্যায় বাস ও লঞ্চ ভাড়া বাড়ার বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যাত্রীবাহী লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারে একজন যাত্রীর ভাড়া ২ টাকা ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে প্রতি কিলোমিটারে জ্বালানি খরচ বাড়বে ৯৯ পয়সা। সে হিসাবে কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীর লঞ্চ ভাড়া বাড়বে ৪২ পয়সা।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়ে ভাড়া আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হবে বলে জানান লঞ্চ পরিবহন নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘বাসের হারে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করলে চলবে না। আমাদের খরচ বেশি হয়। ভাড়া বৃদ্ধির হারটাও বেশি হতে হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তাব করব।’
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চের ভাড়া বাড়বে, কিন্তু লঞ্চমালিকরা এখনও কোনো প্রস্তাব দেয়নি; মৌখিকভাবে জানিয়েছে।
‘শুনেছি বিকেলে তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দেয়া হবে। আলোচনা করে ভাড়া সমন্বয় করা হবে।’
প্রেক্ষাপট
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার সন্ধ্যার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে।এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।