খুলনা নগরীর দৌলতপুরের লিওন শেখ নামের যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে তারা লিওনের মরদেহ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিল অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
১৮ বছর বয়সী লিওন শেখ নগরীর খানজাহান আলী থানার মীরেরডাঙ্গা টিবি হাসপাতাল রোডের আব্দুস সোবহান শেখের ছেলে।
শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিওন হত্যার প্রতিবাদে শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ফুলবাড়ীগেট এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তার লিওনের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
খানজাহান আলী থানার ওসি কামাল হোসেন খান এবং এস আই হাসানুর রহমান হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
পরে তারা মীরেরডাঙ্গা ও সেনপাড়া এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর দৌলতপুরের সেনপাড়া আনসার সোলার মিল রোডের বৌবাজার কালভার্টের কাছে সন্ত্রাসীরা লিওন শেখকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
লিয়নের বড় ভাই নয়ন শেখ বলেন, ‘মীরেরডাঙ্গা-সেনপাড়া এলাকার দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের বলি হলো আমার নিরপরাধ ছোট ভাই। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের বিষয়ে লিয়ন কিছুই জানতো না। শুধু মিরেরডাঙ্গার বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাকে সেনপাড়া এলাকার সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘লিয়নের মাথায় যে কোপটি দেয়া হয়েছে সেখানে ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লিওনকে আহত করার ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’