শত শত স্কুল-কলেজের ভিড়ে হয়তো এ নামেও কোনো স্কুল রয়েছে, ভেবেছিলেন রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ময়মনসিংহের ৭০০ প্রার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে তাদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রে লেখা ছিল- ‘ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’!
এ অবস্থায় শনিবার দুপুরে পরীক্ষা দিতে এসে উল্লিখিত স্কুলটির খোঁজে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীকে। কিন্তু কোথাও ডিস্ট্রিক্ট স্কুলের সন্ধান পাননি তারা। পাওয়ার কথাও নয়। কারণ এই নামে ময়মনসিংহ শহরে কোনো স্কুলেরই অস্তিত্ব নেই। তাহলে?
জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ময়মনসিংহ জিলা স্কুল’কেই প্রবেশপত্রে লেখা হয়েছে ‘ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’!
এমন ভুলের কারণে শনিবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনেকেই ভোগান্তির শিকার হন। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় জিলা স্কুল কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা। এতে সময় অপচয়সহ ভোগান্তির কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ৫৬০টি পদের বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৩১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেন ২৭ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সিট পড়েছে ৭০০ পরীক্ষার্থীর।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সিট পড়া সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘তিন দিন আগে আমার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে দেখি কেন্দ্রের নাম- ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। এ নামে আমি কোনো স্কুল চিনি না। অন্যদের জিজ্ঞেস করলে তারাও বলতে পারেনি। পরে ওয়েবসাইটে দেয়া আসন বিন্যাসে রোল নাম্বার মিলিয়ে নিশ্চিত হই, এটি হবে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, ‘আমিও ভোগান্তিতে পড়েছি। এক কেন্দ্র থেকে ছুটে গেছি আরেক কেন্দ্রে। স্কুলের নাম ঠিকঠাক থাকলে খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন হয় না।’
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘এটি ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবাই এক নামেই চেনে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত নামটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের ভুল কাম্য নয়।’
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহছিনা খাতুন এমন ভুলের জন্য যারা প্রবেশপত্রের দায়িত্বে ছিলেন তাদের দোষারোপ করেছেন।